Maitree Computer Training Center

Loading

Archives 2024

হার্ডওয়্যার ও ফার্মওয়্যার কী?

হার্ডওয়্যার: হার্ডওয়্যার হলো কম্পিউটারের সেই সকল পার্টস বা অংশসমূহ যা চোখে দেখা যায় এবং স্পর্শ করা যায়। অর্থাৎ কম্পিউটারের যে সকল পার্টস বা অংশ সরাসরি স্পর্শ করা যায়, তাকে হার্ডওয়্যার বলে।

কাজের ধরন অনুযায়ী আবার কম্পিউটারের এই হার্ডওয়্যার কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

হার্ডওয়্যার: হার্ডওয়্যার হলো কম্পিউটারের সেই সকল পার্টস বা অংশসমূহ যা চোখে দেখা যায় এবং স্পর্শ করা যায়। অর্থাৎ কম্পিউটারের যে সকল পার্টস বা অংশ সরাসরি স্পর্শ করা যায়, তাকে হার্ডওয়্যার বলে।

কাজের ধরন অনুযায়ী আবার কম্পিউটারের এই হার্ডওয়্যার কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- 

১। ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার (অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যার)। যেমন – Power Supply Unit (PSU), Motherboard, Central Processing Unit (CPU), Primary Memory, Hard Disk, Solid State Drive (SSD) ইত্যাদি।

১। ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার (অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যার)। যেমন - Power Supply Unit (PSU), Motherboard, Central Processing Unit (CPU), Primary Memory, Hard Disk, Solid State Drive (SSD) ইত্যাদি।

 

এবং ২। এক্সটার্নাল হার্ডওয়্যার (বহিরাগত হার্ডওয়্যার)

যেমন:- Monitor, Keyboard, Mouse, Printer, Speaker, Scanner ইত্যাদি। 

 

২। এক্সটার্নাল হার্ডওয়্যার (বহিরাগত হার্ডওয়্যার)

যেমন:- Monitor, Keyboard, Mouse, Printer, Speaker, Scanner ইত্যাদি। 

 

ফার্মওয়্যার: ফার্মওয়্যার হলো একগুচ্ছ কোডিং বা প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটার বা এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রাংশসমূহ পরিচালিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এই ফার্মওয়্যারও এক ধরনের সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের ROM ( Read Only Memory) – তে সংরক্ষণ করা হয়।

software

 

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার (মৈত্রী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার)

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার

“মৈত্রী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার” একটি অনন্য উদ্যোগ, যা শুধুমাত্র সময়ের হিসাবই নয়, পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই ক্যালেন্ডারে থাকছে নানা কার্যক্রম, কোর্সের শিডিউল, গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী সকলের জন্য এটি একটি দিকনির্দেশক হয়ে উঠবে, যার মাধ্যমে তারা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে পারবেন।

 

ফ্রি ফ্রি ফ্রি সেমিনার।

মৈত্রী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর পক্ষ থেকে আগামী, ২০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে বিকাল ০৩ঃ০০ টায় অনুষ্ঠিত হবে ফ্রি সেমিনার

 

কেন Microsoft Word ব্যবহার করবেন?

Microsoft Word কি?

Microsoft Word হল একটি জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসিং সফ্টওয়্যার, যা মূলত লেখালিখি, সম্পাদনা এবং ফরম্যাটিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি Microsoft Office স্যুটের একটি অংশ। এটি ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । Word-এর সহজ ব্যবহার এবং বিস্তৃত বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি বিশ্বব্যাপী বহুল জনপ্রিয় ।

Word ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারবেন, যেমন:

  • রিপোর্ট

  • রুটিন

  • প্রেজেন্টেশন

  • রেজুমে/সিভি

  • চিঠি

  • বই

  • নিবন্ধন

  • দলিল ইত্যাদি।

Word-এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

  • টেক্সট ফরম্যাটিং: ফন্ট, ফন্ট সাইজ, ফন্ট স্টাইল, টেক্সটের রং, অবস্থান ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন।

  • টেবিল তৈরি: তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

  • চিত্র ও গ্রাফিক্স যোগ করা: ডকুমেন্টস-কে আরও আকর্ষণীয় করতে পারবেন।

  • স্পেলিং এন্ড গ্রামার চেক: ভুল শব্দ ও ব্যাকরণগত ভুল ধরতে পারবেন এবং তা সঠিক করতে পারবেন।

  • পিডিএফে রূপান্তর: ডকুমেন্টস বা দলিলকে পিডিএফ ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারবেন।

  • সহযোগিতা: একাধিক ব্যক্তি একই সময়ে একটি ডকুমেন্টস বা দলিল সম্পাদনা করতে পারেন।

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল দিয়ে কী কী করতে পারবেন?

 

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল একটি শক্তিশালী স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম যা বিভিন্ন হিসাব সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহার করে আপনি দৈনন্দিন জীবনের নানা রকমের হিসাব নিকাশের কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।

এখন আমরা দেখবো এক্সেল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়:

  • ডাটা এন্ট্রি ও সংরক্ষণ:
    • বিভিন্ন তথ্য যেমন নাম, বয়স, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা যায়।
    • ডাটা সাজানো, ফিল্টার করা, সাজানো এবং সন্ধান করা যায়।
  • হিসাব-নিকাশ:
    • যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতাংশ নির্ণয়, ইত্যাদি সহজে করা যায়।
    • জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায়।
  • চার্ট ও গ্রাফ তৈরি:
    • বিভিন্ন ধরনের চার্ট যেমন লাইন চার্ট, বার চার্ট, পাই চার্ট ইত্যাদি তৈরি করে ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন করা যায়।
    • ডাটা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করা যায়।
  • পিভট টেবিল:
    • বিশাল পরিমাণ ডাটাকে সহজে বিশ্লেষণ করার জন্য পিভট টেবিল ব্যবহার করা হয়।
    • ডাটার গভীর অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া যায়।
  • ম্যাক্রো রেকর্ডিং:
    • এক্সেলের কাজগুলো অটোমেট করার জন্য ম্যাক্রো রেকর্ডিং করা যায়।
    • সময় বাঁচানো এবং কাজের দক্ষতা বাড়ানো যায়।

এক্সেল শিখলে আপনার সুবিধা কি কি হবে?

  • কর্মক্ষেত্রে সুযোগ:
      1. এক্সেল জানা থাকলে কর্মক্ষেত্রে অনেক সুযোগ রয়েছে।
      2. দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষমতা উন্নত হবে।
  • ব্যবসায়িক সুবিধা:
    1. ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ, বিক্রয় বিশ্লেষণ, স্টক ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদিতে এক্সেলের ব্যবহার অপরিহার্য।
    2. স্মার্ট ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
  • শিক্ষা ও গবেষণায় সুবিধা:
    1. ছাত্র-ছাত্রীরা প্রজেক্ট, রিপোর্ট তৈরিতে এক্সেল ব্যবহার করতে পারে।
    2. গবেষকরা ডাটা বিশ্লেষণে এক্সেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • দৈনন্দিন জীবনে সুবিধা:
    1. ঘরোয়া ব্যয়-উপার্জনের হিসাব রাখা, বাজেট তৈরি ইত্যাদিতে এক্সেল ব্যবহার করা যায়।

 

এক্সেল শিখে আপনার কাজের স্কিল বাড়ান, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পান এবং দৈনন্দিন জীবন সহজ করে গড়ে তুলুন।

 

SSD এবং HDD এর মধ্যে পার্থক্য কি কি?

 

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি বা কম্পিউটার বিষয়ে যাদের আইডিয়া আছে, তারা অবশ্যই SSD (Solid State Drive) এবং HDD (Hard Disk Drive) সম্পর্কে জানি, “যা মূলত ডাটা বা তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়”। কিন্তু কেউ হয়তো আমরা তাদের পার্থক্যগুলো সম্বন্ধে জানি না। তাই আজকে আমরা এদের পার্থক্য সস্পর্কে জানবো:

ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণের জন্য SSD (Solid State Drive) এবং HDD (Hard Disk Drive) দুটি ডিভাইসেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দুইটির মধ্যেই কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য নির্বাচন করার সময় বিশেষ বিবেচনায় রাখা উচিত। 

পার্থক্য:

Technology (প্রযুক্তি)

HDD: এই ড্রাইভটি মূলত মেকানিক্যাল পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে । যার মধ্যে একটি প্লেটার থাকে যা ঘোরে এবং যার সাথে একটি মুভিং রিড-রাইট হেড থাকে যা ডাটা পড়তে ও লিখতে সাহায্য করে।

SSD: SSD মেমরি চিপ ব্যবহার করে যা কোন মেকানিক্যাল অংশ নেই। এটি ফ্ল্যাশ মেমরি প্রযুক্তির ওপর কাজ করে, ফলে ডেটা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্যভাবে পড়া ও লেখা সম্ভব।

 

Speed (গতি)

HDD: HDD এর গতি সাধারণত ধীর হয়। এটি সাধারণত 5400 RPM বা 7200 RPM এর মধ্যে ঘুরে এবং এতে ডেটা অ্যাক্সেস করতে সময় লাগে।

SSD: SSD গুলি খুব দ্রুত, ডেটা পড়া ও লেখার গতি কয়েক গুণ বেশি হয়। এটি সাধারণত 2000 MB/s বা তারও বেশি হতে পারে।

 

Efficiency (কর্মক্ষমতা)

HDD: HDD-এর কর্মক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম, বিশেষ করে বড় ফাইল স্থানান্তর ও ওপেনিংয়ের ক্ষেত্রে। এটি গেমস বা বড় সফটওয়্যারের জন্য ধীর হতে পারে।

SSD: SSD এর কর্মক্ষমতা উচ্চতর, যা অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার এবং গেম দ্রুত লোড করতে সহায়ক।

 

Durability (স্থায়িত্ব)

HDD: মেকানিক্যাল অংশ থাকার কারণে HDD সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পতনের কারণে এটি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।

SSD: SSD গুলি অধিক স্থায়ী এবং কমপ্যাক্ট হওয়ার কারণে তারা শক এবং কম্পনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী।

 

Cost (দাম)

HDD: সাধারণত HDD গুলি SSD-এর তুলনায় সস্তা। তাই অধিক স্টোরেজের জন্য বাজেট কম হলে HDD বেছে নেওয়া যায়।

SSD: SSD গুলির দাম বেশি হলেও, এর গতি এবং কর্মক্ষমতা বিবেচনায় অনেক ব্যবহারকারী এটি পছন্দ করে।

 

Storage (ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণের জায়গা)

HDD: HDD গুলিতে অনেক বেশি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়, সাধারণত 1TB, 2TB বা তারও বেশি।

SSD: SSD গুলির সঞ্চয়স্থান সীমিত, তবে এখন 1TB বা 2TB এর মতো বড় ক্ষমতা পাওয়া যাচ্ছে।

 

Data recovery (ডাটা পুনরুদ্ধার)

HDD: HDD এর থেকে নষ্ট ডাটা পুনরুদ্ধার অনেক সহজ।

SSD: SSD এর নষ্ট ডাটা বা তথ্য পুনরুদ্ধার HDD এর তুলনায় কঠিন।

 

Energy consumption (বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ)

HDD: HDD তুলনামূলক বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে ।

SSD: SSD তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে।

 

Size (আকার)

HDD: HDD তুলনামূলক আকারে বড় হয়ে থাকে ।

SSD: SSD তুলনামূলক আকারে ছোট হয়ে থাকে।

 

Noise (শব্দ)

HDD: HDD শব্দ তৈরী করে থাকে ।

SSD: SSD শব্দ তৈরী করে না ।

 

Environmental conditions (পরিবেশগত অবস্থা)

HDD: তাপ, ঠান্ডা, শক এবং কম্পনের মতো পরিবেশগত অবস্থার কারণে HDD গুলির যান্ত্রিক ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতার জন্য বেশি প্রবণ।

SSD: SSD-এর এসব কোনো ঝৃুঁকি নেই ।

 

SSD এবং HDD উভয়ই তাদের নিজ নিজ স্থানে সুবিধা প্রদান করে। যদি আপনি দ্রুত গতি এবং কর্মক্ষমতা চান, তবে SSD আপনার জন্য সঠিক পছন্দ হতে পারে। অন্যদিকে, যদি আপনি বড় পরিমাণে ডেটা সংরক্ষণ করতে চান এবং বাজেট সীমিত হয়, তবে HDD আরও উপযুক্ত হবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ড্রাইভটি নির্বাচন করুন।

পিসির বিভিন্ন পার্টস সম্পর্কে ধারণা

আমরা অনেকেই আছি, যারা নতুন নতুন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছি এরং হয়তো নতুন নতুন কম্পিউটার কিনতেও চাচ্ছি । কিন্তু আমারা এখনো অনেকেই কম্পিউটার এর গুরুত্বপূণ অংশগুলো বিষয়ে কোন কিছুই জানিনা।

আশা করি নিম্নলিখিত পোস্টটি পড়লেই আমরা পিসির গুরুত্বপূর্ অংশগুলোর বিষয়ে একটি ভালো আইডিয়া পেয়ে যাবো।

পিসির বিভিন্ন পার্টস সম্পর্কে ধারণা:

1. মাদারবোর্ড (Motherboard): এটি পিসির প্রধান সার্কিট বোর্ড, যেখানে সব অংশগুলো সংযুক্ত থাকে। এতে CPU, RAM সহ অন্যান্য কম্পোনেন্টসমূহ সংযুক্ত করা হয়।

2. প্রসেসর (CPU – Central Processing Unit): এটি পিসির মস্তিষ্ক, যা সকল প্রকার গণনা ও প্রসেসিং কার্য সম্পাদন করে।

3. র‌্যাম (RAM – Random Access Memory): এটি একটি টাইপের মেমরি যা অস্থায়ী ডাটা সংরক্ষণ করে, যা CPU দ্রুত অ্যাক্সেস করতে পারে। এটি পিসির গতি বাড়াতে সাহায্য করে।

4. গ্রাফিক্স কার্ড (GPU – Graphics Processing Unit): এটি গ্রাফিক্স ও ভিডিও প্রসেসিংয়ের জন্য বিশেষায়িত অংশ। গেমিং এবং গ্রাফিক্যাল কাজের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

5. হার্ড ড্রাইভ/এসএসডি (HDD/SSD – Hard Disk Drive/Solid State Drive): ডাটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার হয়। HDD বেশি স্টোরেজ দেয় কিন্তু ধীরগতির, আর SSD আকারে ছোট এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন কিন্তু সাধারণত কম স্টোরেজ প্রদান করে থাকে।

6. পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply Unit – PSU): এটি পিসির সকল কম্পোনেন্টকে বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ করে থাকে। যা সঠিক ক্ষমতার PSU নির্বাচন করা জরুরি।

7. কুলার (Cooling System): CPU ও GPU-এর তাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি এয়ার কুলার বা লিকুইড কুলিং হতে পারে। যেগুলোর প্রধান কাজ হলো পুরো পিসিকে ঠান্ডা রাখা।

8. কেস (Computer Case): এটি সকল পার্টসকে ধারণ করে এবং সেগুলোর সুরক্ষা দেয়। 

9. অপটিক্যাল ড্রাইভ (Optical Drive): এটি CD, DVD, বা ব্লু-রে ড্রাইভ পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, যদিও বর্তমানে এর ব্যবহার কমে গেছে।

10. পেরিফেরাল ডিভাইস-সমূহ (Peripheral Devices): কীবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি পিসির সাথে যুক্ত হয় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে।

এইসব পার্টস একসাথে কাজ করে একটি কার্যকরী পিসি তৈরি করতে। যদি কোনো নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে আরও জানতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

মনিটরে আলো/লাইট না আসার কারণ সমূহ এবং সমাধান

কম্পিউটারের মনিটরে পাওয়ার বা ডিসপ্লে না আসার বেশ কয়েকটি কারণ হতে পারে:

  • কারণ – ০১: মনিটর নষ্ট হলে।
  • সমাধান: প্রথমেই চেক করুন মনিটরটি ঠিক আছে কি না। সেক্ষেত্রে, মনিটরে পাওয়ার দেওয়ার পরে, মনিটরের পাওয়ার ইন্ডিকেটর লাইট জ্বলছে কিনা চেক করুন এবং ডিসপ্লেতে সঠিক ভাবে আলো আসছে কি না।
  • কারণ – ০২: “HDMI/VGA” ক্যাবল/পোর্ট নষ্ট থাকলে। সাধারণত মনিটর সিপিইউ থেকে কানেকশন না পেলে এরকম ”No Signal” দেখায়।
  • সমাধান: যদি আপনার কম্পিউটারের HDMI/VGA পোর্ট বা ক্যাবল নষ্ট হয়ে থাকে, তাহলেও আপনার মনিটরের ডিসপ্লে আসবে না । সেক্ষেত্রে, আপনি এগুলো পরিবর্তন করে দেখতে পারেন।
  • কারণ – ০৩: “RAM” নষ্ট হলে।
  • সমাধান: “RAM” নষ্ট হলেও মনিটরে আলো আসে না । তবে, এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই “RAM” টি খুলে এর কানেক্টর পিনগুলো রাবার দিয়ে ঘষে পুনরায় ইনস্টল করে দিলেই ঠিক হয়ে যায়। যদি, না হয় তবে “RAM” পরিবর্তন করে দেখতে পারেন।
  • কারণ – ০৪: “Processor” নষ্ট হলে।
  • সমাধান: উপরের কোন কারণেই যদি মনিটরে আলো না আসে। ‍এক্ষেত্রে, প্রসেসরের সমস্যা থাকতে পারে।  সেক্ষেত্রে, পিসি চালু করলে বার বার আলো এসে পুনরায় আলো হারিয়ে গেলে বুঝতে পারবেন যে প্রসেসরের ওভারহিট জনিত কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে, চেক করতে হবে যে প্রসেসরের উপরের থার্মাল পেস্ট শুকিয়ে গেলে এবং তার উপরের কুলিং ফ্যান সচল আছে কি না। তা ঠিক করলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
  • কারণ – ০৫: “Graphics Card”– এর সমস্যা থাকলে।
  • সমাধান: মনিটরের ক্যাবল যদি গ্রাফিক্স কার্ডে লাগানো থাকে তাহলে গ্রাফিক্স কার্ড ঠিকমত কাজ করছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

আশা করি, উপরের উল্লিখিত কারণ ও সমাধান সমূহ অনুসরণ করলেই আপনার পিসির সাথে মনিটরের আলো ঠিকভাবে চলে আসবে।

পিসি বা ল্যাপটপ কিনতে গেলে কি কি দেখে বা বুঝে কেনা উচিৎ ?

নতুন পিসি বা ল্যাপটপ কিনতে গেলে আমরা কম বেশী সকলেই  দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাই যে, পিসি বা ল্যাপটপ কিনতে গেলে কি কি দেখে বা বুঝে কেনা উচিৎ ।

ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কেনার আগে প্রথমেই আমরা কি কি কাজ করবো তা ঠিক করে সেই অনুযায়ী অন্যান্য পার্টস-সমূহ পছন্দ করতে হবে।

ডেস্কটপ কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন:

1. ব্যবহারকারীর প্রয়োজন: আপনি কী জন্য ডেস্কটপ ব্যবহার করবেন? গেমিং, অফিস কাজ, ভিডিও এডিটিং, বা সাধারণ ব্রাউজিং—এর ওপর ভিত্তি করে আপনার স্পেসিফিকেশন নির্বাচন করতে হবে।

2. Processor : ইন্টেল বা AMD-এর প্রসেসর নির্বাচন করুন। প্রসেসরের জেনারেশন এবং কোর সংখ্যা দেখুন; বেশি কোর এবং নতুন জেনারেশন ভালো পারফরম্যান্স দেয়।

3. RAM : সাধারণত ৮ জিবি RAM ন্যূনতম, কিন্তু ১৬ জিবি বা তার বেশি হলে মাল্টিটাস্কিংয়ে সুবিধা হয়।

4. Storage : HDD ও SSD-এর মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। SSD দ্রুততর হলেও HDD বেশি জায়গা দেয়। তবে অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার টি SSD-তে ইনস্টল করাই উত্তম। কেননা, এতে কাজের প্রসেসিং টাইম খুব কম হয়, এবং কাজের গতি তুলনামূলক অনেক বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে, SSD সর্বনিম্ন ২৫৬ জিবি এবং HDD সর্বনিম্ন  ১ টেরাবাইট একটি ভালো সমাধান হতে পারে।

5. Graphics Card : গেমিং বা গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন। NVIDIA এবং AMD-এর মধ্যে নির্বাচন করুন।

6. Motherboard : প্রসেসরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় পোর্টস ও ফিচার আছে কিনা, তা দেখে নিন।

7. Power Supply Unit : যথেষ্ট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (PSU) নির্বাচন করুন যাতে সব হার্ডওয়্যার ঠিকভাবে কাজ করে।

8. Case/Casing : কেমন কেস চাইছেন, তা নির্ধারণ করুন। কেসের আকার-আকৃতি, ডিজাইন, এয়ারফ্লো, এবং সম্প্রসারণের সুযোগ সুবিধা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

9. Operating System : Windows, Linux বা অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেম কেমন চান, তা নির্ধারণ করুন। তবে উইন্ডোজ হলো ‍সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম যা তূলনামূলক অনেক বেশী ইউজার ফ্রেন্ডলী।

10. Budget : আপনার বাজেটের মধ্যে কি কি বিকল্প আছে তা ‍সঠিকভাবে মূল্যায়ন করুন।

এগুলো দেখে আপনি আপনার প্রয়োজনের জন্য সঠিক ডেস্কটপটি নির্বাচন করতে পারবেন।

আমরা কোন প্রসেসর কিনবো এবং কি দেখে কিনবো?

নতুন পিসি বা ল্যাপটপ কিনার ‍আগে সবার প্রথমেই আমাদের মাথায় যেটা আসে ‍সেটা হলো, 

আমরা কোন প্রসেসর কিনবো?

কোন প্রসেসর কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায়? এবং 

প্রসেসর এর প্রজন্মের সাথে যে কোডগুলো লেখা থাকে, সেসবের আসলে মানে কি বুঝাই । 

আশা করি, আজকের প্রতিবেদনটি ভালো করে দেখলে উক্ত বিষয়গুলো আপনারা ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।

ইন্টেল কোর প্রসেসরগুলি বিভিন্ন সাফিক্স এর মাধ্যমে তাদের বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা নির্দেশ করে থাকে । নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফিক্স এবং তাদের অর্থ উল্লেখ করা হল:

Intel Core Ultra এবং Intel Core Processor এর জন্য ‍সাফিক্স সমূহ

১. i3, i5, i7, i9 :

  • i3: এই প্রসেসরগুলি সাধারণত বাজেট ফ্রেন্ডলি এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। সাধারণত লাইট গেমিং এবং অফিস কাজের জন্য আদর্শ।
  • i5: এই প্রসেসরগুলি মাঝারি স্তরের পারফরম্যান্স প্রদান করে এবং গেমিং, মাল্টিটাস্কিং, এবং কিছু ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য ভালো।
  • i7: এই প্রসেসরগুলি উচ্চ পারফরম্যান্স প্রদান করে এবং গেমিং, ভিডিও এডিটিং, এবং অন্যান্য রিসোর্স-ভোক্তাসম্পন্ন কাজের জন্য উপযুক্ত।
  • i9: এই প্রসেসরগুলি প্রিমিয়াম স্তরের, যা অত্যন্ত উচ্চ পারফরম্যান্স এবং বিশেষভাবে গেমিং এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয়।

২. Generation(প্রজন্ম):

প্রসেসরের প্রজন্ম সবচেয়ে সহজভাবে দেখার উপায় হচ্ছে, প্রসেসরের ব্র্যান্ড লেভেল বা মডিফায়ার এর পরে যে নাম্বারের ‍সিরিজ থাকে ‍সেটা খেয়াল করতে হবে:

  • নম্বরটি যদি ৪ ডিজিটের হয়ে থাকে, তাহলে প্রথম যে সংখ্যা থাকবে, ঐটাই-ঐ প্রসেসরের প্রজন্ম।
  • নম্বরটি যদি ৫ ডিজিটের হয়ে থাকে, তাহলে প্রথম যে দুই সংখ্যা থাকবে, ঐটাই-ঐ প্রসেসরের প্রজন্ম।

 

১ম প্রজন্ম থেকে ১৪তম প্রজন্ম: ইন্টেল কোর প্রসেসরের প্রতিটি নতুন প্রজন্ম উন্নত প্রযুক্তি, গতি এবং দক্ষতা নিয়ে আসে। 

উদাহরণস্বরূপ:

১০ম প্রজন্ম: নতুন আর্কিটেকচার এবং ৩২% বেশি পারফরম্যান্স।

১১ম প্রজন্ম: AI ‍সাপোর্টেড এবং উন্নত গ্রাফিক্সের জন্য।

প্রতিটি প্রজন্মের সাথে, ইন্টেল তাদের প্রসেসরগুলির দক্ষতা এবং সক্ষমতা বাড়াতে চেষ্টা করে, ব্যবহারকারীদের নতুন প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করতে।

৩. U, H, K, T

U: (Power Efficient), এই সাফিক্স টি সাধারণত ল্যাপটপের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এনার্জি দক্ষতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলি সাধারণত লাইট কাজের জন্য আদর্শ।

H: (Highest performance), এই সাফিক্স টি উচ্চ পারফরম্যান্স ল্যাপটপ প্রসেসরের জন্য। গেমিং এবং অন্যান্য ভারী কাজের জন্য উপযুক্ত।

K: (High performance, unlocked), এই সাফিক্স টি অরবিটিং এবং ওভারক্লকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে পারফরম্যান্স বাড়াতে পারেন।

T: (Power-optimized lifestyle), এই সাফিক্স টি সাধারণত কম শক্তি খরচ করা প্রসেসরের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা বিভিন্ন কাজের জন্য দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ প্রদান করে।

৪. F

  • F: (Requires discrete graphics) এই সাফিক্স টি নির্দেশ করে যে প্রসেসরে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স নেই। অর্থাৎ, এই ধরনের প্রসেসর ব্যবহার করতে হলে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন।

৫. G

  • G1-G7: (Graphics level) এই সাফিক্স টি নির্দেশ করে যে প্রসেসরে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স রয়েছে এবং সাধারণত এই গ্রাফিক্সগুলি গেমিংয়ের জন্য কিছুটা সক্ষম।

Intel Core Ultra এবং Intel Core Processor-এর সাফিক্স ব্যবহারকারীদের জন্য পরিষ্কার ধারণা দেয় যে তাদের কোন ধরনের প্রসেসরর প্রয়োজন । সঠিক সাফিক্স নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পারফরম্যান্স এবং শক্তি সাশ্রয় নিশ্চিত করতে পারেন।