Maitree Computer Training Center

Loading

Archives November 2024

ফ্রি ফ্রি ফ্রি সেমিনার।

মৈত্রী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর পক্ষ থেকে আগামী, ২০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে বিকাল ০৩ঃ০০ টায় অনুষ্ঠিত হবে ফ্রি সেমিনার

 

কেন Microsoft Word ব্যবহার করবেন?

Microsoft Word কি?

Microsoft Word হল একটি জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসিং সফ্টওয়্যার, যা মূলত লেখালিখি, সম্পাদনা এবং ফরম্যাটিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি Microsoft Office স্যুটের একটি অংশ। এটি ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । Word-এর সহজ ব্যবহার এবং বিস্তৃত বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি বিশ্বব্যাপী বহুল জনপ্রিয় ।

Word ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারবেন, যেমন:

  • রিপোর্ট

  • রুটিন

  • প্রেজেন্টেশন

  • রেজুমে/সিভি

  • চিঠি

  • বই

  • নিবন্ধন

  • দলিল ইত্যাদি।

Word-এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

  • টেক্সট ফরম্যাটিং: ফন্ট, ফন্ট সাইজ, ফন্ট স্টাইল, টেক্সটের রং, অবস্থান ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন।

  • টেবিল তৈরি: তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

  • চিত্র ও গ্রাফিক্স যোগ করা: ডকুমেন্টস-কে আরও আকর্ষণীয় করতে পারবেন।

  • স্পেলিং এন্ড গ্রামার চেক: ভুল শব্দ ও ব্যাকরণগত ভুল ধরতে পারবেন এবং তা সঠিক করতে পারবেন।

  • পিডিএফে রূপান্তর: ডকুমেন্টস বা দলিলকে পিডিএফ ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারবেন।

  • সহযোগিতা: একাধিক ব্যক্তি একই সময়ে একটি ডকুমেন্টস বা দলিল সম্পাদনা করতে পারেন।

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল দিয়ে কী কী করতে পারবেন?

 

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল একটি শক্তিশালী স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম যা বিভিন্ন হিসাব সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহার করে আপনি দৈনন্দিন জীবনের নানা রকমের হিসাব নিকাশের কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।

এখন আমরা দেখবো এক্সেল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়:

  • ডাটা এন্ট্রি ও সংরক্ষণ:
    • বিভিন্ন তথ্য যেমন নাম, বয়স, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা যায়।
    • ডাটা সাজানো, ফিল্টার করা, সাজানো এবং সন্ধান করা যায়।
  • হিসাব-নিকাশ:
    • যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতাংশ নির্ণয়, ইত্যাদি সহজে করা যায়।
    • জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায়।
  • চার্ট ও গ্রাফ তৈরি:
    • বিভিন্ন ধরনের চার্ট যেমন লাইন চার্ট, বার চার্ট, পাই চার্ট ইত্যাদি তৈরি করে ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন করা যায়।
    • ডাটা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করা যায়।
  • পিভট টেবিল:
    • বিশাল পরিমাণ ডাটাকে সহজে বিশ্লেষণ করার জন্য পিভট টেবিল ব্যবহার করা হয়।
    • ডাটার গভীর অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া যায়।
  • ম্যাক্রো রেকর্ডিং:
    • এক্সেলের কাজগুলো অটোমেট করার জন্য ম্যাক্রো রেকর্ডিং করা যায়।
    • সময় বাঁচানো এবং কাজের দক্ষতা বাড়ানো যায়।

এক্সেল শিখলে আপনার সুবিধা কি কি হবে?

  • কর্মক্ষেত্রে সুযোগ:
      1. এক্সেল জানা থাকলে কর্মক্ষেত্রে অনেক সুযোগ রয়েছে।
      2. দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষমতা উন্নত হবে।
  • ব্যবসায়িক সুবিধা:
    1. ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ, বিক্রয় বিশ্লেষণ, স্টক ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদিতে এক্সেলের ব্যবহার অপরিহার্য।
    2. স্মার্ট ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
  • শিক্ষা ও গবেষণায় সুবিধা:
    1. ছাত্র-ছাত্রীরা প্রজেক্ট, রিপোর্ট তৈরিতে এক্সেল ব্যবহার করতে পারে।
    2. গবেষকরা ডাটা বিশ্লেষণে এক্সেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • দৈনন্দিন জীবনে সুবিধা:
    1. ঘরোয়া ব্যয়-উপার্জনের হিসাব রাখা, বাজেট তৈরি ইত্যাদিতে এক্সেল ব্যবহার করা যায়।

 

এক্সেল শিখে আপনার কাজের স্কিল বাড়ান, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পান এবং দৈনন্দিন জীবন সহজ করে গড়ে তুলুন।

 

SSD এবং HDD এর মধ্যে পার্থক্য কি কি?

 

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি বা কম্পিউটার বিষয়ে যাদের আইডিয়া আছে, তারা অবশ্যই SSD (Solid State Drive) এবং HDD (Hard Disk Drive) সম্পর্কে জানি, “যা মূলত ডাটা বা তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়”। কিন্তু কেউ হয়তো আমরা তাদের পার্থক্যগুলো সম্বন্ধে জানি না। তাই আজকে আমরা এদের পার্থক্য সস্পর্কে জানবো:

ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণের জন্য SSD (Solid State Drive) এবং HDD (Hard Disk Drive) দুটি ডিভাইসেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দুইটির মধ্যেই কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য নির্বাচন করার সময় বিশেষ বিবেচনায় রাখা উচিত। 

পার্থক্য:

Technology (প্রযুক্তি)

HDD: এই ড্রাইভটি মূলত মেকানিক্যাল পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে । যার মধ্যে একটি প্লেটার থাকে যা ঘোরে এবং যার সাথে একটি মুভিং রিড-রাইট হেড থাকে যা ডাটা পড়তে ও লিখতে সাহায্য করে।

SSD: SSD মেমরি চিপ ব্যবহার করে যা কোন মেকানিক্যাল অংশ নেই। এটি ফ্ল্যাশ মেমরি প্রযুক্তির ওপর কাজ করে, ফলে ডেটা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্যভাবে পড়া ও লেখা সম্ভব।

 

Speed (গতি)

HDD: HDD এর গতি সাধারণত ধীর হয়। এটি সাধারণত 5400 RPM বা 7200 RPM এর মধ্যে ঘুরে এবং এতে ডেটা অ্যাক্সেস করতে সময় লাগে।

SSD: SSD গুলি খুব দ্রুত, ডেটা পড়া ও লেখার গতি কয়েক গুণ বেশি হয়। এটি সাধারণত 2000 MB/s বা তারও বেশি হতে পারে।

 

Efficiency (কর্মক্ষমতা)

HDD: HDD-এর কর্মক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম, বিশেষ করে বড় ফাইল স্থানান্তর ও ওপেনিংয়ের ক্ষেত্রে। এটি গেমস বা বড় সফটওয়্যারের জন্য ধীর হতে পারে।

SSD: SSD এর কর্মক্ষমতা উচ্চতর, যা অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার এবং গেম দ্রুত লোড করতে সহায়ক।

 

Durability (স্থায়িত্ব)

HDD: মেকানিক্যাল অংশ থাকার কারণে HDD সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পতনের কারণে এটি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।

SSD: SSD গুলি অধিক স্থায়ী এবং কমপ্যাক্ট হওয়ার কারণে তারা শক এবং কম্পনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী।

 

Cost (দাম)

HDD: সাধারণত HDD গুলি SSD-এর তুলনায় সস্তা। তাই অধিক স্টোরেজের জন্য বাজেট কম হলে HDD বেছে নেওয়া যায়।

SSD: SSD গুলির দাম বেশি হলেও, এর গতি এবং কর্মক্ষমতা বিবেচনায় অনেক ব্যবহারকারী এটি পছন্দ করে।

 

Storage (ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণের জায়গা)

HDD: HDD গুলিতে অনেক বেশি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়, সাধারণত 1TB, 2TB বা তারও বেশি।

SSD: SSD গুলির সঞ্চয়স্থান সীমিত, তবে এখন 1TB বা 2TB এর মতো বড় ক্ষমতা পাওয়া যাচ্ছে।

 

Data recovery (ডাটা পুনরুদ্ধার)

HDD: HDD এর থেকে নষ্ট ডাটা পুনরুদ্ধার অনেক সহজ।

SSD: SSD এর নষ্ট ডাটা বা তথ্য পুনরুদ্ধার HDD এর তুলনায় কঠিন।

 

Energy consumption (বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ)

HDD: HDD তুলনামূলক বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে ।

SSD: SSD তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে।

 

Size (আকার)

HDD: HDD তুলনামূলক আকারে বড় হয়ে থাকে ।

SSD: SSD তুলনামূলক আকারে ছোট হয়ে থাকে।

 

Noise (শব্দ)

HDD: HDD শব্দ তৈরী করে থাকে ।

SSD: SSD শব্দ তৈরী করে না ।

 

Environmental conditions (পরিবেশগত অবস্থা)

HDD: তাপ, ঠান্ডা, শক এবং কম্পনের মতো পরিবেশগত অবস্থার কারণে HDD গুলির যান্ত্রিক ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতার জন্য বেশি প্রবণ।

SSD: SSD-এর এসব কোনো ঝৃুঁকি নেই ।

 

SSD এবং HDD উভয়ই তাদের নিজ নিজ স্থানে সুবিধা প্রদান করে। যদি আপনি দ্রুত গতি এবং কর্মক্ষমতা চান, তবে SSD আপনার জন্য সঠিক পছন্দ হতে পারে। অন্যদিকে, যদি আপনি বড় পরিমাণে ডেটা সংরক্ষণ করতে চান এবং বাজেট সীমিত হয়, তবে HDD আরও উপযুক্ত হবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ড্রাইভটি নির্বাচন করুন।